সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা নেই বললেও রয়েছে শঙ্কা’। এ খবরে মূলত মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে – সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের মতামত তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের দাবি এই ফলাফলে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শুধু একটি দলের ওপর নির্ভর করে না; বাণিজ্যিক, কৌশলগত, ভূরাজনৈতিকসহ অনেক বিষয় এখানে রয়েছে।
তবে কূটনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে মার্কিন সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার ওপরেও প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার দূতাবাসের আয়োজিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিশেষ আয়োজনে বাংলাদেশের তরুন নেতা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা অংশ নেন।
এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির দায়িত্ব পাওয়া কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান বিশ্বে যে জটিল পরিস্থিতি রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফলাফল আরো সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখবে।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘বড় জয়ে ফিরলেন ট্রাম্প’। খবরে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হারের পর নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও সমর্থকদের উসকে দিয়ে দাঙ্গা বাধিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ নিয়ে মামলা ও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল, ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বুঝি শেষ হতে চলল।
কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প দোর্দণ্ডপ্রতাপে ফিরে এসেছেন ক্ষমতার মসনদে। যা ইতিহাস গড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আড়াইশ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছিল আরেকবার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর ১৮৮৮ সালে হেরে যান।
ঠিক চার বছর পর ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে জিতে তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে ১৩২ বছর পর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখল যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস গড়েছেন ট্রাম্প।
সবচেয়ে বেশি বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘যেসব কারণে প্রত্যাবর্তন ট্রাম্পের’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইতিহাস গড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজের মসনদে ফেরার পেছনে যে কটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম ছিল দেশের অর্থনীতি।
গত চার বছর মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ অনেকটা হাঁফিয়ে উঠেছে। করোনার পর মূল্যস্ফীতি যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, তা সত্তরের দশকের পর যুক্তরাষ্ট্র আর কখনোই দেখেনি।
আর এ সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে ট্রাম্প-শিবির। এছাড়া অভিবাসন ও কৃষ্ণাঙ্গ ইস্যু এবং লাতিন আমেরিকান, নারী ও তরুণ ভোটারদের বেশ ভালোভাবেই আকৃষ্ট করতে পেরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবারের নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগান ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এ ব্যাপারটিও ট্রাম্পের জয়ে ভূমিকা রেখেছে।
বলা হচ্ছে, অনেক মার্কিনি মনে করেন, ইউক্রেনে যে লাখ লাখ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে, তা যদি আমেরিকার ভেতরে খরচ করা হতো, তাহলে দেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী হতো।
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘গাজা যুদ্ধে সুখবর নেই বাণিজ্যে অস্বস্তি বাড়বে চীন-ভারতের’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবারের বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও।
এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির বদলে দেবেন তিনি।
ট্রাম্প তার ভাষণে বলেছেন, “আমি আগের চার বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সামরিক বাহিনী ব্যবহার করিনি। ওই সময়ে কোনো যুদ্ধ ছিল না। আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।”
সেই সময় শুধু আইএস-এর (ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন-গাজা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেন।
২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তবে ফিলিস্তিনের কোনো সুবিধা হয়নি।
তাই ট্রাম্পের এই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধে যেভাবে প্রভাব ফেলবে, গাজা যুদ্ধে সেই প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘ইউনূস সরকারের পাশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করে বলে পাওলা পামপোলিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
তিনি বলেন, ‘বার্তা খুব স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনার সাথে আছে। আমরা আপনার সংস্কারকে সমর্থন করতে চাই।’
পাম্পালোনি জানান, সংস্কার কাজের জন্য তহবিলের কোনো অভাব হবে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘নির্বিচার মামলা কার্ড বাতিল সাংবাদিকতার হুমকি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্প্রতি স্বার্থান্বেষী মহলের হামলা-ঘেরাওয়ের হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলেছে, গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থী। ভিন্নমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের ঢালাও নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তাহীনতা মূলত কর্তৃত্ববাদের পুনরাগমনের পথ সৃষ্টি করবে।
বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানায় টিআইবি।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন মহল দেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, হামলা, ঘেরাওয়ের হুমকিসহ নানা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে’।
তিনি বলেন, ‘দৃশ্যত অতিক্ষমতায়িত কোনো কোনো মহলের স্বার্থের বাইরে গেলেই গণমাধ্যমকে আক্রমণ ও সাংবাদিক হেনস্তা, গণমাধ্যমকে দখল বা খেয়ালখুশি মতো পরিচালনার প্রচেষ্টা চলছে, যা আসলে মুক্ত গণমাধ্যমের সম্ভাবনার জন্য অশনিসংকেত।’