চেনা ছন্দে ফেরা হয়নি ব্রাজিলের। আরো একবার জয়-বঞ্চিত সেলেসাওরা। বছরের শেষ ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে পারলেন না ভিনিসিউস-রাফিনিয়ারা। উরুগুয়ের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই ছাড়তে হয়েছে মাঠ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বুধবার উরুগুয়ের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। তবে ঘরের মাঠ সালভাদোরে জয়ের দেখা পায়নি ব্রাজিল। ১-১ সমতায় নিষ্পত্তি হয়েছে লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি লড়াই।
তৃতীয় মিনিটেই ভালো সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ভিনিসিউস জুনিয়র। আর ৩৫তম মিনিটে রাফিনিয়ার শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। তবে সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে।
তবে সাফল্য আসেনি। রাফিনিয়ার কর্নার থেকে পাওয়া বল জেসুস হেড করলেও তা ব্যর্থ করে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক। অপরদিকে নিজেদের রক্ষণভাগেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে উরুগুয়ে। ফলে প্রথমার্ধ ছিল গোল শূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভালো সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লক্ষ্যে সাভিনিয়ো। এরপর রাফিনিয়া আরো একটা সুযোগ সাজালেও, ভিনিসিউস তা কাজে লাগাতে পারেননি। তার শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের ১০ম মিনিটে ব্রাজিলকে চমকে দিয়ে হঠাৎ উরুগুয়ে এগিয়ে যায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভালভার্দের বাঁকানো শট নাগালে পাননি ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসন। ধাক্কা খায় ব্রাজিল।
তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি উরুগুয়ে। ৭ মিনিট পর দূরপাল্লার শটে দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। রাফিনিয়ার ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে রদ্রিগো বেন্তানকু সফল হননি। সুযোগ পেয়ে জাল খুঁজে নেন গারসনে।
এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হলেও আর গোল আসেনি। দু’দল মেতে ওঠে সুযোগ হাতছাড়া করার লড়াইয়ে। ফলে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দু’দলের।
এই ড্রয়ে আবারো পয়েন্ট হারিয়েছে ব্রাজিল। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেছে সেলেসাওরা। আর ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে গেল উরুগুয়ে। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আর্জেন্টিনা।