রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বার্তা প্রচারের সুত্রপাত ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রোববার রাতে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত রোববার বিকেলে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও আসবে ভয়ংকর রূপে, সাবধান’ লেখাটি ভেসে ওঠে কলেজের ডিজিটাল বোর্ডে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হলে রাতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই কমিটি গঠন করে।চার সদস্যের কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মতিন। অন্য তিনজন সদস্য হলেন—ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বারিক মৃধা এবং আইসিটি বিভাগের প্রভাষক আর এম ইমতিয়াজ আলম।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী বলেন,
‘বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যে নাম ওই বোর্ডে দেখা গেছে সেই নামের একটি ফেসবুক আইডিও আমরা পেয়েছি। তবে তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা এরই মধ্যে বোয়ারিয়া থানায় একটি জিডিও করেছি। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্বার বলেন, ‘ভীতি সঞ্চার করা ছাড়া আওয়ামী লীগের দাঁড়ানোর শক্তি নেই। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় নিতে আসতে হবে।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি জিডি করেছেন। সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে এটির তদন্ত চলছে।