হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার চার বছর পর ফের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে পুরো বিশ্বের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু এখন একজনই- তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে একে সবচেয়ে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন বলছেন কেউ কেউ।
কোটি কোটি আমেরিকানের ভোটে ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় ফেরার পর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন,
ক্ষমতায় ফেরার প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করবেন। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথকে ‘দুই সেকেন্ডের মধ্যে’বরখাস্ত করবেন।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে জানা যায়,
কনজারভেটিভ পডকাস্ট হোস্ট হিউ হিউইট এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি নিজের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন নাকি বিশেষ কাউন্সেলকে বরখাস্ত করবেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই সহজ। খুবই সহজ… আমি তাকে দুই সেকেন্ডের মধ্যে বরখাস্ত করব।’
জ্যাক স্মিথ গত বছর ট্রাম্পকে দুটি মামলায় অভিযুক্ত করেন। প্রথমটি ফ্লোরিডায়, যেখানে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো ক্লাবে শ্রেণিবদ্ধ ডকুমেন্ট রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। দ্বিতীয়টি ওয়াশিংটনে, যেখানে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পুনরায় উলটানোর চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
বিশেষ কাউন্সেলকে বরখাস্ত করার আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে থাকলেও ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এমন একজন অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করবেন, যিনি এসব মামলায় বিচার বিভাগের অবস্থান পরিবর্তন করবেন।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প বারবার বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারকে বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। মুলার ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সম্পর্ক পরীক্ষা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি এই প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেন, কারণ হোয়াইট হাউসের পরামর্শক ডন ম্যাকগান তার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন এবং পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের কো-চেয়ারম্যান এবং ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের সিইও হাওয়ার্ড লুটনিক একাধিকবার বলেছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসনে যোগ দিতে হলে কর্মকর্তাদের তার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বস্ত হতে হবে।
শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা-ও আবার ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ঘাড়ে নিয়েই। এখন দেখার বিষয় তিনি স্মিথের সঙ্গে কী করেন।