গজনী অবকাশ কেন্দ্র

গজনী অবকাশ কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি প্রধান অবকাশ কেন্দ্র। এটি উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের গজনী জেলায় অবস্থিত।

এই গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য বিখ্যাত:

  • গজনী মসজিদের স্থাপত্যের বিশেষত্ব খুবই আকর্ষণীয়:
    • মসজিদটি ইসলামিক স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নমুনা। এর ডিজাইন পারসিয়ান ও ইন্ডো-ইসলামিক স্থাপত্যের প্রভাব প্রকট।
    • মসজিদের মূল প্রবেশদ্বারে বড় গম্বুজ এবং দক্ষিণ দিকে মিনার রয়েছে। এটি মসজিদ স্থাপত্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
  1. স্থাপত্যশিল্প ও প্রস্তরশিল্প:
    • মসজিদের প্রধান গম্বুজটির শ্রেষ্ঠ ঈরানি প্রস্তর-কারুকার্য দৃষ্টিনন্দন। এছাড়াও, দরজার আশপাশে কিছু সুন্দর প্রস্তর-কারুকার্য রয়েছে।
    • মসজিদের প্রবেশদ্বারের চারপাশে মিনারেরও স্থাপত্য-শিল্পের উচ্চমানের নমুনা লক্ষ্য করা যায়।
  2. কলা ও ডিজাইন:
    • মসজিদের ভিতরে দেওয়ালের উপর কুরআনের আয়াত ও ইসলামিক ডিজাইন খোদিত রয়েছে। এগুলো অসাধারণ কারুকার্য।
    • মসজিদ ভিতরে বিভিন্ন রঙের টাইল লাগানো হয়েছে যা স্থাপত্য-শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
  1. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য:গজনী অবকাশ কেন্দ্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর। এখানে অনেক সুন্দর পাহাড়, পর্বত, নদী এবং হ্রদ রয়েছে।
  2. ঐতিহাসিক গুরুত্ব:এই অবকাশ কেন্দ্রটিতে গজনী সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক অবস্থান রয়েছে। গজনী সাম্রাজ্য একসময় পূর্ব এশিয়ার একটি প্রভাবশালী সাম্রাজ্য ছিল।
  3. ধর্মীয় স্থাপনা:এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে, যেমন মাধবদাস মসজিদ, গজনী মসজিদ এবং প্রাচীন উইন্ডসার প্যালেস।
  4. পর্যটন সুবিধা:গজনী অবকাশ কেন্দ্রটিতে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ, ট্যুর অপারেটর রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পর্যটন সুবিধাও উপলব্ধ।
  5. আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা:এই অবকাশ কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এখানে প্রতিবছর লক্ষাধিক পর্যটক আসেন।মোটকথা, গজনী মসজিদ ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্য বিদ্যার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় একটি স্থাপনা।

সংক্ষেপে, গজনী অবকাশ কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ অবকাশ কেন্দ্র যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ধর্মীয় স্থাপনা এবং পর্যটন সুবিধার জন্য বিখ্যাত।

কিভাবে যাওয়া যায় গজনী অবকাশ কেন্দ্র:

কিভাবে যাওয়া যায় গজনী অবকাশ কেন্দ্র

শেরপুর থেকে আনুমানিক দূরত্ব = ৩০ কি:মি: বাসভাড়া= ৫০ টাকা। সিএনজি ভাড়া = ২৫০ টাকা। এখানে আসার জন্য সড়ক পথে যাতায়ত খুব সহজ। গজনী অবকাশ পর্যন্ত রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মসৃণ পিচঢালা পথ। রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম।

শেরপুর থেকে আনুমানিক দূরত্ব = ৩০ কি:মি:বাসভাড়া= ৫০ টাকা।সিএনজি ভাড়া = ২৫০ টাকা।

এখানে আসার জন্য সড়ক পথে যাতায়ত খুব সহজ। গজনী অবকাশ পর্যন্ত রয়েছে সড়কও জনপথ বিভাগের মসৃণ পিচঢালা পথ। রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়েযাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম। উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল-জামালপুর হয়েও আসতেপারেন সড়ক পথে। শেরপুর শহর থেকে গজনীর দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকাথেকে সরাসরি মাইক্রোবাস অথবা প্রাইভেট কারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকাথেকে নিজস্ব বাহনে মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় ঝিনাইগাতীর গজনীঅবকাশে আসা যায়।এ ছাড়া ঢাকার মহাখালি থেকে ড্রিমল্যান্ড বাসে শেরপুর আসা যায়। ভাড়া২৫০টাকা। মহাখালী থেকে দুপুর ২টায় ছাড়ে এসিবাস। ভাড়া ৩৫০টাকা। এছাড়াঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম ৪ নং গেইট থেকে সরাসরি বিকাল ৩-৪টায়শিল্প ও বণিক সমিতির গাড়ী ঝিনাইগাতীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ভাড়া ৩০০টাকা ।যারা ড্রিমল্যান্ডে আসবেন, তারা শেরপুর নেমে নিউমার্কেট থেকে মাইক্রোবাস৫০০ টাকায় সোজা গজনী যেতে পারবেন। শেরপুর থেকে লোকাল বাস,টেম্পু, সিএনজিঅথবা রিক্সায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যাওয়া যায়।

পাহাড়ের ঢালে, গায়ে অথবা পাহাড় চূড়ায় সারিসারি শাল, সেগুন, মহুয়া, গজারী, আকাশমনি, ইউকেলিপটাস, মিলজিয়ামসহ আরো নামনা জানা কত শত পাহাড়ি গাছ, বনফুল ও ছায়াঢাকা বিন্যাস যেন বিশাল ক্যানভাসেসুনিপুণ শিল্পীর রঙ-তুলির আঁচড়। শিল্পীর এ আঁচড় খুব সহজেই প্রকৃতিপ্রেমীদেরহৃদয়ে দোলা দিয়ে যেতে পারে বলেই প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেহাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী নারী-পুরুষ, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সবাই ছুটে আসেনশেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী গারো পাহাড়ের মন ছুঁয়ে যাওয়াপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে।

ভারতের মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে ও বাংলাদেশেরউত্তর সীমান্তে অরণ্যরাজি আর গারো পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড়ি নদী ভোগাই, চেল্লাখালি, মৃগী, সোমেশ্বরী, মালিঝি, মহারশীর ঐশ্বরিক প্রাচুর্যস্নাতঅববাহিকায় সমৃদ্ধ জনপদ শেরপুর। এ জেলার বিশাল অংশজুড়ে গারো পাহাড়ের   বিস্তৃতি। লাল মাটির উঁচু পাহাড়। গহীন জঙ্গল, টিলা, মাঝে সমতল। দু’পাহাড়েরমাঝখান দিয়ে ছন্দ তুলে পাহাড়ী ঝর্ণার এগিয়ে চলা। পাহাড়, বনানী, ঝরণা, হ্রদএতসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যেও কৃত্রিম সৌন্দর্যের অনেক সংযোজনই রয়েছেগজনী অবকাশ কেন্দ্রে।

  • admin

    'বাংলাদেশ প্রতিদিন'দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনাবলী নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এগুলি দেশের জনগণের মূল আগ্রহ ও উদ্বেগের বিষয়গুলিকে প্রতিফলিত করে। আপনি যদি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি পড়তে চান, তাহলে থাকুন আমাদের সাথে

    Related Posts

    সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পথে ৬ জনকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

    কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নির্মাণ সামগ্রী সেন্ট মার্টিন নিয়ে যাওয়ার পথে দুটি সার্ভিস ট্রলারসহ ৬ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি স্থান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। তবে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুধবার (১৩ নভেম্বর) জানাজানি হয়। টেকনাফ সেন্ট মার্টিন নৌরুটের…

    Continue reading
    উপদেষ্টাদের নিয়ে ক্ষোভ ছাত্রদের বড় মশকরা হচ্ছে : হাসনাত আবদুল্লাহ

    অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-জনতার মতামত না নিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করে- এমন কাউকে উপদেষ্টা পরিষদে মেনে নেওয়া হবে না বলেও এসব বিক্ষোভ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে…

    Continue reading

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    You Missed

    কমেছে পেঁয়াজের দাম

    • By admin
    • November 20, 2024
    কমেছে পেঁয়াজের দাম
    ফের জয়-বঞ্চিত ব্রাজিল

    গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান

    • By admin
    • November 20, 2024
    গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান

    ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম, আমাকে বাঁচান: সাবেক ওসি

    • By admin
    • November 20, 2024
    ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম, আমাকে বাঁচান: সাবেক ওসি
    আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর

    আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে মেসি শুনলেন, তাঁর কোচ আর থাকছেন না

    • By admin
    • November 20, 2024
    আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে মেসি শুনলেন, তাঁর কোচ আর থাকছেন না